শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : আবারও তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটাই সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে পরিণত হলো, যেমনটা হয়েছিল ঠিক এক বছর আগে। ২০২১ সালের জুলাই মাসে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। এবারও ঠিক একই ব্যবধানে সিরিজ জয়ের হাতছানি টাইগারদের সামনে।
যে দল তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ জিতবে, সিরিজ হবে তাদেরই। আজ (মঙ্গলবার) বিকেল ৫টায় হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই সিরিজ নির্ধারণী লড়াইয়ে নামবে টিম বাংলাদেশ। এ ম্যাচের আগে ছিটকে পড়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
তার বদলে অধিনায়ক হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আবার এই ম্যাচে পারফরমার সোহানের বদলে দলভূক্ত করা হয়েছে সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
এক বছর আগে যেভাবে শেষ হাসি হেসেছিল রিয়াদের দল, এবার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নেতৃত্বে কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে?
ইতিহাস জানাচ্ছে, ২০২১ সালের জুলাই মাসে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা। সে জয়টাও সহজ ছিল না। লক্ষ্য ছিল ১৯৪ রানের। কিন্তু সৌম্য সরকারের ৪৯ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৫ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল রিয়াদের দল।
এবার কি হবে? আবার বড়সড় টার্গেটের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে? নাকি দ্বিতীয় ম্যাচের মত নাগালের ভেতরে থাকা লক্ষ্য তাড়া করতে হবে? উত্তরটা পাওয়া যাবে কয়েক ঘণ্টা পরই।
তবে এক বছর আগে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগের পরিবেশ ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে এবারের চালচিত্রর একটা ছোট্ট পার্থক্য আছে। সেবার বাংলাদেশ শুরুতে ৭ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০‘তে এগিয়ে গিয়েছিল। পরে জিম্বাবুয়ে ২৩ রানে জিতে সমতা ফিরিয়ে আনে।
এবার হয়েছে উল্টোটা। প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে জিতে জিম্বাবুয়ে শুরুতে ১-০‘তে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ উইকেটে জিতে সমতা ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজের চিত্র যেমনই থাক, আজ টাইগাররা জিতলে শেষ পর্যন্ত ফলটা ঠিক এক বছর আগের মতোই হবে।
এরই মধ্যে প্রমাণ হয়েছে জিম্বাবুইয়ানদের ঘায়েল করতে হলে স্পিন বোলিংটাই সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র। আগের ম্যাচে অফস্পিনার মোসাদ্দেক একাই ম্যাচ ভাগ্য গড়ে দিয়েছেন। তাকে খেলতে গিয়ে চরম পর্যুদস্ত জিম্বাবুয়ে।
সৈকতের কার্যকর স্পিন বোলিংয়েই জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ রানে অলআউট করা সম্ভব হয়েছিল। পেসারদের বদলে দুই অফস্পিনার সৈকত আর শেখ মেহেদি করেছিলেন বোলিংয়ের সূচনা। মেহেদি কোনো উইকেট না পেলেও ৩ ওভারের স্পেলে একদম কৃপণ ছিলেন। তার বলে রান উঠেছিল মোটে ১০।
তবে আগের ম্যাচ জেতানো অফস্পিনার মোসাদ্দেক আজও জিম্বাবুয়াইনদের পথের কাঁটা হবেন, এমন ভাবার কোনই কারণ নেই। সিরিজ জিততে বাকিদের ব্যাট ও বল হাতে জ্বলে ওঠাও খুব জরুরী।
মোদ্দা কথা, আজ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টাইগারদের টিম পারফরম্যান্স দেখাতে হবে। তবেই অধিনায়ক হিসেবে সাফল্যের হাসি হাসবেন মোসাদ্দেক। বাংলাদেশও ফেরাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক বছর আগের ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ‘সুখস্মৃতি’।